রাজ্যকে কেন বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনতে হবে? প্রতিবাদে মোদিকে চিঠি দিচ্ছেন মমতামমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিনই সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, রাজ্যেগুলিকে ভ্যাকসিন কেনার জন্য ডোজ পিছু ৪০০ টাকা দিতে হবে৷  কেন্দ্রীয় সরকার যে দামে ভ্যাকসিন (Coronavirus Vaccine) কিনছে, তার থেকে কেন বেশি দাম দিতে হবে রাজ্য সরকার বা বেসরকারি হাসপাতালকে? এই প্রশ্নই তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷

এর প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কড়া চিঠিও দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন রাজ্যের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মালদহে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই এই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ আগামী ১ মে থেকে গোটা দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিও সরাসরি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে৷ এ দিনই সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, রাজ্যেগুলিকে ভ্যাকসিন কেনার জন্য ডোজ পিছু ৪০০ টাকা দিতে হবে৷

আর বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রতিটি ডোজ কিনতে হবে ৬০০ টাকায়৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, এই অতিমারির সময় কেন ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করা হবে? কেন্দ্র যে দামে ভ্যাকসিন কিনতে পারছে, রাজ্যগুলি কেন সেই একই দামে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে না৷ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও কেন বেশি দাম দিতে হবে, তার নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা৷ তাঁর দাবি, এ বিষয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত৷ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন মানুষকে সাহায্য করবে না ব্যবসা করবে? এখন ব্যবসা করার সময় নয়, মানুষকে বাঁচানোর সময়৷ কেন্দ্রীয় সরকার দেড়শো টাকা করে পেত, রাজ্য কেন ওই দামে পাবে না?’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি রেখেছে রাজ্য সরকার৷ তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৯৩ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ কেন্দ্রের কাছে আরও ১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু ২ মে ভোটের ফল ঘোষণা রয়েছে, তাই ভোট প্রক্রিয়া পুরোপুরি মিটলে আগামী ৫ মে থেকে রাজ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু হবে৷